-
- চট্টগ্রাম বিভাগ, বিশেষ সংবাদ, লাইফস্টাইল, সড়ক ও জনপদ
- বেনাপোলে প্রায় ৭৫দিন আটকে আছেন ১৯ ভারতীয় ট্রাকচালক-হেলপার
- প্রকাশিত হয়েছে: মে, ৩১, ২০২০, ১০:৩৩ অপরাহ্ণ
- 398 জন দেখেছে
মোঃ আইয়ুব হোসেন পক্ষী, বেনাপোল প্রতিনিধি :করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে ভারতের পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১৯ ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপার প্রায় আড়াই মাস ( ৭৫দিন) ধরে বেনাপোল স্থলবন্দরের ট্রাক টর্মিনালে আটকা পড়েছেন। ফলে অনাহারে অর্ধহারে জীবনযাপন করছেন এসব চালক ও হেলপাররা।
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ভারতে লকডাউন ঘোষণার আগে (২০ মার্চ) ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল বন্দরে আমদানিকৃত শিল্প কারখানার কাঁচামালসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আসেন এ সব ট্রাক চালকরা। পরে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাসের পর থেকে ট্রাক ও চালকদের লকডাউনের কারণে নিজ দেশে ফেরত নেয়নি ভারত সরকার। সেই থেকে আটকা পড়ে আছেন এসব চালক ও হেলপাররা। সারাদিন ট্রাকের নীচে কেবিনে শুয়ে বসে তাদের দিন পার হচ্ছে।
ভারতীয় ট্রাকচালকরা জানান, আমরা বাংলাদেশে আমদানি পণ্য নিয়ে এসে আটকে পড়েছি। ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ আমাদের ফিরিয়ে নিচ্ছে না। খেয়ে না খেয়েই জীবন চলছে এবং গাড়িতেই রাত কাটাতে হচ্ছে আমাদের। আমরা আমাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের কাছে যা টাকা পয়সা ছিল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
তারা আরো জানান, বেনাপোল বন্দর, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লোকজন মাঝে মধ্যে কিছু খাদ্য সহয়তা করে সেগুলো দিয়েই চলছে। আর যত দ্রুত সম্ভব তাদের যেনো নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তারা।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় ট্রাক ও চালকদের প্রবেশে বাধা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। আমরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বাংলাদেশি আমদানিকারক ও স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা করোনাভাইরাস দুর্যোগে ভারতীয় ট্রাকচালকদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে না নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এসব চালকরা। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা এখনো কোনো ফলস্বরূপ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
NEWS EDITOR
MD. Nazmul Islam
More News Of This Category এই বিভাগের আরও খবর