নোয়াখালী প্রতিনিধি:
পারিবারিক কলহের জেরধরে নেশাগ্রস্থ্য জামাই শশুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে শাশুড়ী, শালাভাই এবং নিজ স্ত্রীকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে পালিয়ে যান, দুইদিন পর সেই হামলাকারী জামাই উল্টো শিশু হত্যার অভিযোগ এনে বউ শাশুড়ীর বিরুদ্ধে থানায় পিটিশন দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত ২২ এপ্রিল বিকাল ৫টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড পশ্চিম মাইজচরা নামক স্থানে অভিযোগরী মহিলার বসতঘরে।
ঘটনার সূত্রে জানাযায়, অভিযুক্ত নারী একজন স্বামী পরিত্যাক্তা হওয়াতে ছেলে সন্তান নিয়ে কোন রকম দিনযাপন করে যাচ্ছেন। গত নয় মাস আগে একই এলাকার জহিরউদ্দিনের ছেলে রাসেদের সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে বিয়ে দেন। বিয়ের সময় মেয়ের সুখ চিন্তা করে জামাই দিন মজুর হওয়ায় নগদ ১লক্ষ বিশ হাজার টাকা যৌতুক দেন তিনি।
সুমাইয়া জানান, রাসেদ এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। সেই বউদেরকে নেশা করে এসে নির্যাতন করার কারনে তারা তাকে ছেড়ে চলে যায়। যাহা আমার বিয়ের আগে আমাদের পরিবারের কাছে গোপন করে রাখেন তার পরিবার। তার পরেও নিজের সুখ শান্তি চিন্তা করে তার সংসার করতেছি, এক পর্যায়ে দেখতে পাই সে প্রতিদিন বাড়িতে নেশা করে আসতে শুরু করছে, আমি নিষেধ করলে আমাকে মানধর করে এবং আমার শাশুড়িকে মারে। গত দুইদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে আমার সাথে ঝগড়া করে এবং আমার মা বাধাঁ দেওয়ায় আমার মাকে আমাকে এবং আমার ছোট ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা বলেন, মেয়েটার বিয়ের পর থেকে দেখতেছি তাদের দুই পরিবারের মধ্যে সব সময় ঝগড়া লেগেই আছে, এবং সেইদিন রাতে তাদের বাড়িতে জামাই এসে সবাইকে কুপিয়ে আগাত করে চলে গেলে তাদের চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি রক্তমাখা অবস্থায় পড়ে আছে পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
পরে অভিযুক্ত জামাই রাসেদ এবং তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তার সব অশিকার করেন।
ভুক্তভোগি পরিবারের বলেন তাদের বিরুদ্ধে থানায় আনিত মিথ্যা অভিযোগ পত্যাহার করে উভয়পক্ষ বসে সামাধান করার দাবী জানান।
বার্তা প্রধান ।
বাংলা নিউজ টিভি।