রিপন খান রবিন, নাগরপুর টাঙ্গাইল ঃ
করোনা পরিস্থিতিতে থমকে গেছে টাংগাইলের নাগরপুর উপজেলার পরিবহন শ্রমিক সহ খেটে-খাওয়া নিন্মআয়ের মানুষগুলোর জনজীবন। এই সমস্ত নিন্মআয়ের মানুষের বন্ধ হয়ে গেছে আয় রোজগারের পথ। সব চেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে দিন আনে দিন খায় এমন মানুষ গুলি।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের তান্ডবে লন্ডভন্ড শুধু শিক্ষা ও জনজীবনই নয়। প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতেও। আজকের এই সুন্দর সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সবচেয়ে বেশি অবদান শ্রমজীবী মানুষের। করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে এই শ্রমজীবি মানুষের দৈনন্দিন জীবনে।তবে প্রশাসন ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী মানুষ গুলির জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণ বিতরণ শুরু করে দিয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
কেবল সরকারি বরাদ্দের উপর নির্ভর করে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী ও খেটে-খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষকে এই সময়ে ঘরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। সরকার করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহনসহ সকল ধরনের জনসমাগম বন্ধ করেছে। আর এ সুযোগে এক শ্রেনীর মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী পন্যের মূল্য বৃদ্ধি করে শ্রমজীবী মানুষদের ফেলেছে চরম দূর্ভোগে। চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রশুন সহ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দিনদিন যেনো বেড়েই চলেছে।
এগুলোর দাম কেজি প্রতি ৫-২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেলেও এখন কিছুটা স্থিতিশীল। কথা হয় বিভিন্ন শ্রমজীবী মানুষের সাথে, তারা বলেন- মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়েই তো আমাদের সংসার। প্রতিদিনই পরিবারের জন্য কিছু না কিছু প্রয়োজন হয়।প্রতিদিনের রোজগার দিয়ে আমরা প্রতিদিনের বাজার সদাই করে সংসার চালাই। গত ২ সপ্তাহ ধরে প্রশাসনের নির্দেশে চা দোকানসহ প্রায় সকল প্রকার দোকান বন্ধ, যাত্রী নাই, কোন মাল আনানেওয়া হচ্ছে না। তাই কোন আয় নাই।
পরিবারের সকলকে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে। এখন শুধু ধার দেনা করে সংসার চলছে। এভাবে আর কতদিন ধার করে সংসার চালানো যায় বলুন। আর কিছু দিন এই রকম থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। করোনার ভয়ে ঘরের বাহির হতে মন চায় না, আবার অভাবের কারণে বের না হয়েও পারি না।
বাংলা নিউজ টিভি , বার্তা বিভাগ ১: