তারাগঞ্জ(রংপুুর)প্রতিনিধিঃ খলিলুর রহমান খলিল
দেশের উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা রাখছে বর্তমান বিদ্যুৎ বিভাগ। সরকার শিল্প ও কলকারখানা সহ উৎপাদন মুখী যে সকল কর্যক্রম হাতে নিয়েছেন তা কেবল সম্ভব বিদ্যুতের কারনে। আর প্রতিনিয়ত তার উন্নতি কল্পে উৎপাদন কেন্দ্র ও মেরামতের কাজ চলছে। শততম মুজিব বর্ষ পালনে আরও রয়েছে ব্যপক পরিকল্পনা। আর তার ভিন্নর“প পাওয়া গেছে রংপুরের তারাগঞ্জ জোনাল অফিস (পবিস-২) তে। প্রকৃত সংযোগ পেতে মরিয়া হয়ে কৃষক ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। আর অবৈধ সংযোগ সহ নানা অনিয়মের প্রশ্ন উঠেছে সেই বিদ্যুত অফিসের কর্তৃপ¶ের বির“দ্ধে।
জানা গেছে, তারাগঞ্জ জোনাল অফিস (পবিস-২) এলাকায় মোট গ্রাহক সংখ্যা আবাসিক ৬৭০৭২ শিল্প ২৬৫ সেচ ২১২০ বাণিজ্যিক ৩৪৯৯ শি¶া প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ মন্দির ৯৩৪ ইন্ডাট্রি ১৭ ইজি বাইক ০৪ সহ মোট ৭৩৯২৫জন গ্রাহক রয়েছে।
সয়ার ইউনিয়নের দামোদরপুর দোলাপাড়া (হিন্দুপাড়া) গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রতন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবত আমি সেচ সংযোগ নিয়ে জমিতে পানি দিয়ে আসছি। চলতি বোরো মৌসুমে আমি জমিতে এখনও ধান লাগাতে পারিনি পানি অভাবে। আরইবি চেয়ারম্যান স্যার হতে ইউএনও স্যার সবাইকে অনুরোধ করেছি এবং লিখিত অভিযোগ করেছি আমার সেচ মিটারের সংযোগ টা দেয়ার জন্য। কোন স্যারই আমার কথা শুনে নাই, উল্টো আমার সেচ এলাকায় মন্টু চন্দ্র রায়ের ছেলে অরবিন্দু রায়কে সেচ মিটারের বর্ডিং লাইসেন্স দিয়েছেন। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন করছি। সংযোগটি না পাইলে ধান আবাদ করতে পারবো না আমাকে পথের ভি¶ারী হতে হবে।
কনক রায় বলেন, প্রায় ১০ বছর হতে রতন রায় সেচ মিটার দিয়ে পানি দিয়ে আসছে। এবারে পলী বিদ্যুতের লোকজন সংযোগ না দেয়ায় রতন মরিয়া হয়ে উঠেছে। একই এলাকার চাষি নিত্যেন রায় নরেন রায় ওহাব আলী বলেন, হামাড় ধানের জমি রতনের মটর দিয়া পানি দেই দীর্ঘ ১০ বছর থাকি। এবার কারেনের মিটার এলাং নাগে দেয় নাই অফিস।
অরবিন্দু রায় অভিযোগ করে বলেন, আমার অনেক জমি রতনের কোন জমি নাই চাষাবাদের। তাই আমি সেচ মিটারের আবেদন করেছি এবং উপজেলা সেচ কমিটি আমাকে লাইসেন্স দিয়েছেন বরং রতনের কোন লাইসেন্স নাই।
সয়ার রঘুনাথপুর গ্রামের মকলেছ রহমান ,কাল্টু মিয়া, হক সাহেব জাবের আলীসহ কয়েক অভিযোগ করে বলেন, প্রত্যেকের কাছে আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ দেয়ার জন্য এই এলাকার বিলিং রাইটার ৪০০ টাকা করে নেন।
এদিকে অটোভ্যানে চার্জ দেওয়ার জন্য একই এলাকার হাসমত আলী ও রেজাউল ইসলামের কাছে ওই বিল রাইটার ম্যান ২০০ টাকা করে নেন।
সয়ার খান সাহেব পাড়া গ্রামের লাবু মিয়া বলেন, আমি দেড় ল¶ টাকা খরচ করে সেচ মিটার নিয়েছি। আজ সবাই বাড়ির মিটার দিয়ে মটর লাগিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছে। এখন পলী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কানা হইছে চোখে দ্যাখে না। আইন বেরায় না জরিমানাও করে না।
সয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মহিউদ্দিন আজম কিরন বলেন, অনেক ঝামেলা আছে এটি নিয়ে কয়েক দফা মিটিং করেছি রতন ও অরবিন্দুকে নিয়ে।
তারাগঞ্জ জোনাল অফিস (পবিস-২) এর ডিজিএম আশরাফুল হক বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি সকল বিষয় জানি, একটু সময় লাগবে। চলতি মাসে ৫টি আবাসিক মিটার দিয়ে সেচ চালায় জরিমানা করা হয়েছে এবং বিলিং রাইটার মোবাইলে টাকা নেয়ায় ইসি সাহাবুদ্দিন কামালকে তদšে—র জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রতনের ব্যাপরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ভালো জানেন আমার চেয়ে।
পাগলাপীর জোনাল অফিস পবিস-২ জিএম হার“ন অর রশিদ বলেন, রতনের সেচ সংযোগের ব্যাপারে আমি জেনেছি। তবে খুব দ্র“ত সমাধানের জন্য আইইরি চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন।
নিতিমালার অনুসারে অবৈধ ও আবাসিক মিটার ব্যবহার কারিরা নিয়মের বহির্ভূত হলে জরিমানা করার নিয়ম আছে।
বার্তা প্রধান ।
বাংলা নিউজ টিভি।